Posts

Showing posts from 2020

বিয়ের প্রস্তাব

এক ছেলে, এক মেয়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। 🙋🏻‍♂️ মেয়েটি প্রস্তাবটি জেনে ছেলেটিকে জানায়... 🙋🏼‍♀️🤔 আমি জানিনা,  কীভাবে রান্না করতে হয়! 🍲 কীভাবে সেলাই করতে হয়! 👕 কীভাবে কাপড় ধুয়ে ইস্ত্রি করতে হয়! 👔 আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন? 🙄🤔 ছেলেটি বললো... 🙋🏻‍♂️ আপনি কি নামাজ আদায় করতে পারেন? 🧕 আপনি কি আল্লাহ্ তা'আলার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করে তার ইবাদাত করেন? 🤲🏻 আপনি কি রোজা রাখেন, যাকাত দেন? মেয়েটি বললো... 🙋🏼‍♀️ জ্বী, আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। 🧕 আমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করি না। ❌ আমি যখন পারি তখন দান-সাদাকাহ করি এবং আমি আল্লাহকে ভয় করি। 🙂 ছেলেটি (হাসিমুখে জানায়)... 🙋🏻‍♂️😊 আমার জন্য ততটুকুই যথেষ্ট। আমার একজন মেয়ের প্রয়োজন যিনি আমার দ্বীনকে সম্পূর্ণ করবে। আমার বাড়িতে কোন কাজের বুয়ার প্রয়োজন নেই। 🙂 এসব শুনে মেয়েটি উত্তর দিলো... 🙋🏼‍♀️☺️ আমি রান্নাবান্না, কাপড় কাঁচাসহ সব কাজই করতে অভ্যস্ত। শুধু আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম আপনি কতটুকু দ্বীনদার। 👳 আলহামদুলিল্লাহ্ আপনি পাশ করেছেন 🤲🏻 আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কোরআন—এ ইরশাদ করেছেন, اَلْخَبِيْثٰ...

দ্রুত বিয়ে হওয়া ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল সম্পর্কে—

আমাদের জীবনে সেটাই ঘটবে যা আল্লাহ্ তাআলা আমাদের ভাগ্যে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই পেরেশান হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা চাই। মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন— قُلْ لَنْ يُصِيْبَنَا إِلاَّ مَا كَتَبَ اللهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا “তুমি বল, আল্লাহ্ আমাদের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন, তা ব্যতীত কিছুই আমাদের নিকট পৌঁছবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক।” —[সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৫১] তবে বেশি বেশি করে দুআ করবেন। কারণ দুআ অনেক পাওয়ারফুল আমল। আল্লাহ্ তাআলা আম্বিয়ায়ে কেরামের আমলের মধ্যে দুআর বিষয়টি পবিত্র কুরআনে বারবার উল্লেখ করেছেন। হাদিসে এসেছে— لاَ يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلاَّ الدُّعَاءُ “ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দুআ ব্যতীত।” —[তিরমিযী: ২১৩৯] অতিদ্রুত হালাল, উত্তম ও সম্মানজনক রুজি এবং উত্তম ও দ্বীনদার স্ত্রী কিংবা স্বামী পাওয়ার জন্য বেশি বেশি করে মুসা আলাইহিস সালাম কৃত দুআটি পড়তে পারেন— رَبِّ اِنِّیۡ لِمَاۤ اَنۡزَلۡتَ اِلَیَّ مِنۡ خَیۡرٍ فَقِیۡرٌ “হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।” —[সূরা কাসাস, আয়াত: ২৪] উত্তম জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহ্ ...

১০০টি কবিরা গুনাহ

🌀 কবিরা গুনাহ কাকে বলে? কবিরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে— ◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দন্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে। ◉ যে সকল কাজে আল্লাহ্ তা'য়ালা রাগ করেন। ◉ যে সকল কাজে আল্লাহ্ তা'য়ালা, নবী ﷺ ও ফিরিশতা মন্ডলী লানত দেন। ◉ যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়। ◉ কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ্ ও রসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ◉ যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে। ◉ অথবা যে কাজকে আল্লাহ্ তা'য়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 🌀 কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদা: ১. মহান আল্লাহ্ বলেন: إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا "যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থা...

ব্যভিচারের শাস্তির জন্য প্রস্তুত তো?

যারা রিলেশনশীপে আছেন, তাদের জন্য ছোট্ট একটি নসিহাহ্⁉️ আপনি কি ভাবছেন “আমরা তো তাওবাহ করেই নিব। ক্ষমা চেয়ে নিব! আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দিবেন। ইসলাম এত কঠোর নাহ!” ইসলাম নিশ্চয়ই এতটাও সহজ নয় যে, কবীরা গুনাহ জানার পরও আপনি দিনের পর দিন আপনার রবের সাথে জেনেৎশুনে নাফরমানি করবেন, তাকে তাওবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিবেন, আর তিনি আপনাকে বিনা পাকড়াও ছাড় দিয়ে দিবে! নিশ্চয়ই নয়! এই লেইম যুক্তি গুলো থেকে এবার একটু বেরিয়ে আসা যাক! ১। আচ্ছা বিয়ের পর তাওবাহ করবেন— যদি বিয়ে করার আগেই মরে যান? আপনি নিশ্চিত কীভাবে বিয়ে পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন? কত মানুষই তো আমার আপনার বয়সী বিভিন্ন কারণে মারা যাচ্ছে! আপনার মৃত্যু ওভাবে হবে না আপনি এত নিশ্চিত কীভাবে? যদি এরকম ঘটে তাহলে কি হবে ভেবেছেন? এই যিনা—ব্যভিচারের শাস্তির জন্য প্রস্তুত তো? ২। আপনি কি জানেন দুআ কবুল না হওয়ার একটি কারণ হচ্ছে ‘হারামে লিপ্ত থাকা’? একটা ছোট খামখেয়ালীর জন্য নিজের আমল, ইবাদত, দ্বীনকে কেন হুমকির মুখে ফেলছেন ভাই/বোন? ৩। জেনে শুনে হারামকে হারাম জেনেও ফিরে না আসাকে কি আপনার আল্লাহর সাথে নাফরমানি মনে হয় না? তাক্বওয়...

বিয়ের আগে প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ হারাম

প্রেম হারাম হলে ইউসুফ জুলেখা, শিরি ফরহাদ, লাইলি মজনু প্রেম করতো না! আধুনিক প্রেমিক যুগলদের যখন বলা হয় বিবাহপূর্ব প্রেম নিষিদ্ধ, তখন তারা ঠিক উপরের বাক্যটা ছুড়ে দেয়। আসলেই কি ইউসুফ আদম আলাইহি সাল্লাম প্রেম করেছিল? আসুন, সত্যতা জেনে নেই। কুরআন মাজিদের ১২ নাম্বার সূরা, সূরা ইউসুফ এর কয়েকটা আয়াত দেখুন, আর সে যে মহিলার (জুলেখা) বাড়িতে ছিল, ঐ মহিলা তাকে ফুসলাতে লাগল এবং দরজাসমূহ বন্ধ করে দিল। সে মহিলা বলল— ‘শুন! তোমাকে বলছি, এদিকে আস।’ সে বলল— ‘আল্লাহ্ রক্ষা করুন’; তোমার স্বামী আমার মালিক। তিনি আমাকে সযত্নে থাকতে দিয়েছেন। নিশ্চয় সীমা লংঘনকারীগণ সফল হয় না। —[সূরা ইউসুফ, আয়াত ২৩] তারা উভয়ে ছুটে দরজার দিকে গেল এবং মহিলা ইউসুফের জামা পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে ফেলল। উভয়ে মহিলার স্বামীকে দরজার কাছে পেল। মহিলা বলল— ‘যে ব্যক্তি তোমার পরিজনের সাথে কুকর্মের ইচ্ছা করে, তাকে কারাগারে পাঠানো অথবা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেয়া ছাড়া তার আর কি শাস্তি হতে পারে?’ —[সূরা ইউসুফ, আয়াত ২৫] মোটামুটি ঘটনাটা এমন, ইউসুফ আদম আলাইহি সাল্লামকে তার ভাইয়েরা কুয়ায় নিক্ষেপ করে চলে এসেছিল ছোটতে। সেই কুয়া থেকে তুলে এনেছিল ...

ইসলামে প্রেমের বিধান

ইসলামে প্রেমের বিধান— بسم الله الرحمن الرحيم পরপুরুষ বা পরনারীর  সঙ্গে নিঃসন্দেহে প্রেম হারাম! কেননা, ১। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন— “তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।” —[সূরা মায়িদা: ৫] ২। তাছাড়া এ জাতীয় প্রেম নর-নারীকে যিনার নিকটবর্তী করে দেয়। আর যিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুনাহ। যিনা তথা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হারাম এবং যে সকল জিনিস যিনার নিকটবর্তী করে দেয় তাও হারাম।  আল্লাহ্ তা'আলা বললেন— “আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ"। —[সূরা ইসরা: ৩২] ৩। প্রেম করলে শয়তান অবশ্যই যিনা করতে প্রলুব্ধ করবে। প্রেমিক-প্রেমিকা নির্জনতা কামনা করবে। আর এটা হারাম।  রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন— “শুনে রাখ, কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সঙ্গে নিভৃতে একত্রিত না হয় অন্যথায় শয়তান অবশ্যই তৃতীয় জন হিসাবে হাজির থাকে”। —[ইবনু মাজাহ: ২৩৬৩, তিরমিযি: ২১৬৫] ৪। অপর হাদীসে রসূলুল্লাহ ...

১টি বিবাহ প্রকল্প; দুটি জীবনের দুর্ভোগ!

যৌন ক্ষুধা কি সাধারণ ক্ষুধার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ? ক্ষুধা লাগলে খেতে হয়। খাবার না পেলে চুরি করে হলেও মানুষ খাবার সংগ্রহ করে। তাহলে, যৌন ক্ষুধা নিবারণ করার সুযোগ করে না দিলে তো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হারামের দিকে পা বাড়াবে। দেখুন! বিয়ে কত সহজ ছিলো সাহাবাদের সময়ে! সাহল বিন সা’দ (রদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার এক নারী রসূল ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এসে বললো— ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার নিজেকে আপনার জন্য উপহার দিতে এসেছি (পরোক্ষ ভাষায় বিয়ের প্রস্তাব)।’ তখন নবী ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করে মাথা নিচু করলেন। সেই নারী যখন দেখলো যে, নবী ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়লো। এমন সময় রসূল ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীদের একজন বললো— ‘যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এই নারীর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিন।’ তিনি বললেন— “তোমার কাছে কি (মোহর দেওয়ার মতো) কিছু আছে?” সে বললো— ‘হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম! কিছুই নেই।’ তিনি বললেন— “তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং দেখো কিছু পাও কি না!” এরপর লোক...

দরুদ শরীফ সংক্ষেপে লেখা যাবে না! ❌

♦রসূল ﷺ এর নাম মুবারক লেখার পর দরুদ শরীফ সংক্ষেপে লেখা যাবে না (১ম পর্ব) রসূল ﷺ নাম মুবারক এর সাথে দরুদ শরীফ সংক্ষেপে (সাঃ), (ছঃ), (দঃ), (সা.), (সা:), (স), (Pbuh), (Pbh), (D), (S), (Sm), (ﺻﻠﻠﻢ), (ﺻﻠﻌﻢ), (ﻋﻢ), (ﺹ) ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত শব্দ দ্বারা দরুদ লেখার বিধান: 📖 ১ম দলিল— নূরে মুজাস্সাম, হজুরপূর নূর ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিখার পর পূর্ণ দরুদ শরীফ লিখা হাদীস শরীফে আদেশ করা হয়েছে— عن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “من صلى عليّ في كتاب، لم تزل الصلاة جارية له ما دام اسمي في ذلك الكتاب অর্থ: যে ব্যক্তি আমার উপর ছলাত বা দরুদ শরীফ লিখবে, সর্বদাই আমার নাম মুবারকের সাথে ঐ লিখায় পূর্ণ দরুদ শরীফ লিখবে। 📖 দলিল সমূহ— (ক.) মুজামুল কবীর তাবরানী ১৯/১৮১: হাদিস ৪৪৭ (খ.) মুজামুল আওসাত তাবরানী ২/২৩২: হাদিস১৮৩৫ (গ.) তারগীব ওয়াত তারহীব ২/৩৩০: ১৬৯৭ (ঘ.) মাযমাউয যাওয়ায়েদ ১/১৬৩: হাদিস ৫৭৭ (ঙ.) জামিউল আহাদীস ২১/১১: হাদিস ২২৭৭৩ (চ.) কানযুল উম্মাল ১/৫০৭: হাদিস ২২৪৩ (ছ.) লিসানুল মিযান ২/৩০০ (জ.) তবাকাতে সুফিয়াতুল কুবরা ১/১৮০ (ঝ.) তাফসীরে ইবনে কাছীর: ৬/৪৭৭ (ঞ.) তাফসীরে কুরত...

পর্দার দাওয়াহ ❤

*শোনো! তুমি পর্দা কেনো করনা? কই আমি তো পর্দা করি। এইযে আমি জামার সাথে হিজাব করে আছি। *এটা তো পর্দা না। এটা শালীনতা!!! পর্দা আর শালীনতা তো দুইটা দুই জিনিস। অবশ্যই শালীন হওয়া আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু পর্দা তো আমাদের জন্য ফরয। যেহেতু আমরা সবাই মুসলিম তাই আমাদের ফরয কে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। তাই নয় কি? *আচ্ছা যারা পরিপূর্ণ ভাবে পর্দা করে, তুমি তাদের মতো চলতে পারনা কেনো? সেই বোনটিকে আর তোমাকে তো আল্লাহ্ একই আদলে তৈরি করেছেন। তাই না? ওরা পারে, এজন্য যে আমাকে পারতে হবে তার তো কোনো মানে নেই। একেক জনের শরীর একেক রকম।কারো সাথে কারো সামঞ্জস্য নেই। তাই ওরা পারলেও আমি পারবনা। আমি আর ওরা কি এক নাকি? *আচ্ছা তুমি যখন স্কুল বা কলেজে পড়তে, তখন তোমার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দেশ ছিলো, সবাই একই ধরনের, একই কালারের পোশাক পরে আসবে। তখন তো সবাই তাই করেছিল যা তুমিও করেছিলে। তখন তো ওরা আর তুমি একই ছিলে তাই না? তাহলে এই ক্ষেত্রে এক হলে সমস্যা কোথায়? আমার সমস্যা আমি নিকাব-বোরকা পড়তে পারিনা। কারণ আমার দম আটকে আসে। প্রচন্ড গরম লাগে, আর গরম আমি একটুও সহ্য করতে পারি না। *তাহলে তুমি যে এই মুহূর্তে মুখে মাস্ক পরে আছ...

যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন তাদের জন্য ঔষধ প্রতিদিন ৩বেলা খাবেন (পড়বেন)

হতাশ হবেন না... কেটে যাবে জীবনের সব হতাশা, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কৃত করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্। যখনই কোন আত্মহত্যার খবর শুনি কুরআনের এই আয়াতগুলো খুব অর্থপূর্ণ হয়ে উঠে..! 😑 🌠 “আল্লাহ্ কষ্টের পর সুখ দিবেন!” —সূরা ত্বলাক: ৭ 🌠 “নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি!” —সূরা ইনশিরাহ: ৬ 🌠 “আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি!” —সূরা ইউসুফ: ৮৬ 🌠 “জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে!” —সূরা বাক্বারা: ২১৪ 🌠 “একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না!” —সূরা ইউসুফ : ৮৭ 🌠 “আল্লাহ্ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না!” —সূরা বাক্বারা: ২৮৬ 🌠 “এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের!” —সূরা বাক্বারা: ১৫৫ 🌠 “হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন!” ‌‌—সূরা বাক্বারা: ১৫৩ 🌠 “হে আল্লাহ্, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি!” —সূরা মারইয়াম: ৪ আল্লাহ্ আমাদের সকল মুসলমানদেরকে দ্বীনি সহীহ বুঝ...

অতি ছোট কিন্তু মহা ফজিলতপূর্ণ দুআ! 🤲🏻💕

মূল আরবী— ‎ ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔََ উচ্চারণ— “আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকাল আফিয়াহ” অর্থ— “হে আল্লাহ্ আমি আপনার কাছে আফিয়াহ চাই” আফিয়াহ-এর অর্থ— “ইয়া আল্লাহ্, আমাকে সকল দুঃখ, গ্লানি ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা কর অর্থাৎ, ☛ সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য দুআ। ☛ সন্তানের সুরক্ষার জন্য দুআ। ☛ শাস্তির পরিবর্তে ক্ষমা পাবার জন্য দুআ। ☛ যেকোন দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তির জন্য দুআ। ☛ বেঁচে থাকার তাগিদে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য দুআ।” রসূল ﷺ বলেছেন, দোয়ার মত আফিয়াহ-এর চেয়ে উত্তম আর কিছু হতে পারে না। ✍🏾 ❶ [তিরমিযি, হাদিস— ৩৫১৪] ❷ [মিশকাত, হাদিস— ২৪৯০] ❸ [আহমাদ, হাদিস— ১২২৯১] ❹ [সহীহাহ, হাদিস নং— ১৫২৩] ❺ [আল জামি, হাদিস নং— ২৪৯০] ❻ [ইবনু মাজাহ, হাদিস নং— ৩৮৪৮] ❼ [আত্ তারগীব, হাদিস নং— ১৯৭৭]

সুন্নাত

📌 স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাত। (মুসলিম— ৫৭৯) 📌 স্ত্রীর সাথে চুল আঁচড়ে নেয়া সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চুল আঁচড়ে দিতেন। (বুখারী— ২৯৫, মুসলিম— ৫৭১) 📌 স্ত্রীর সাথে একই সাথে গোসল করা সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) এর সাথে এবং কখনো মাইমুনা রাঃ এর সাথে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্রতার গোসল করতেন। (মুসলিম— ৬২০, নাসাঈ— ৩৮০) 📌 স্ত্রীর ব্যবহার করা মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মৃত্যু সজ্জায়, তখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়েশা (রাঃ) এর কোলে শুয়ে ছিলেন এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বার বার মেসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলেন, কিন্তু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে মেসওয়াক চিবোতে পারবেন না, তাই আয়েশা (রাঃ) মেসওয়াক চিবিয়ে দেন এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করেন। হাদীসে এভাবে লালা একত্রিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। (বুখারী— ৫২২৬) 📌 স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাত। রসূল ছল্লাল্লা...

মেয়েদের জন্য ১৫ টি হাদিস

১। দেবর মৃত্যু সমতুল্য। (মৃত্যু থেকে মানুষ যেভাবে পলায়ন বা সতর্কতা অবলম্বন করে এক্ষেত্রে তাই করতে হবে) [বুখারী শরীফ— ৫২৩২, মুসলিম শরীফ— ২১৭২, তিরমিযী শরীফ— ১১৭১] ২। কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। [তিরমিযী শরীফ— ১১৭১] ৩। তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্ত শিরায় প্রবাহিত হয়। [তিরমিযী শরীফ— ১১৭২] ৪। কোন অবৈধ নারীকে স্পর্শ করার চেয়ে মাথায় লোহার পেরেক পুঁতে যাওয়া ভালো। [আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ— ২২৬] ৫। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী যাদেরকে আমি দেখিনি। তারা ভবিষ্যতে আসবে। প্রথম শ্রেণী হবে একদল অত্যাচারী, যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক যার দ্বারা তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সে নারীর দল, যারা কাপড় পরিধান করবে কিন্তু তবুও তারা উলঙ্গ অবস্থায় থাকবে, নিজেরা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট এবং অন্যদেরকেও তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে, যাদের মস্তক (খোঁপা বাধার কারণে) উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে...

তাহাজ্জুদ

তাহাজ্জুদ! এমন‌ই এক ইবাদত যা আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক দৃঢ় থেকে সুদৃঢ় করে। যা বান্দার অন্তরকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করে। সর্বশ্রেষ্ঠ এই নফল ইবাদত পারে মুনাফিকের তালিকা থেকে আপনার আমার নাম মুছে দিতে। এই মহাক্ষণে স্বয়ং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং তাঁর বান্দাদের ডেকে বলেন, “কে আছো আমার কাছে চাইবে আমি তাকে তা দান করবো” [বুখারীঃ ১১৪৫] আর আপনি কীভাবে ভাবলেন এই মহৎ ইবাদতে শয়তান হানা দিবে না! — তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার সৌভাগ্য সবার হয়না। গভীর রজনীতে তুলতুলে বিছানায় আরামের ঘুমকে উপেক্ষা করে সবাই পারেনা তাহাজ্জুদের মুসল্লায় দাঁড়াতে। তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয়না। যারা আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু করে, প্রথম কিছু দিন তাদের মধ্য থেকে অনেকেই একটি বাঁধার সম্মুখীন হয়। — অন্ধকারে কে যেন তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। হয়তো আপনার পেছনে বা ঐ যে দরজার পাশেই বসে বসে দেখছে আপনাকে। অজু করে আসতেই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিছু বা কখনো কখনো হয়তো পায়চারি করছে। আপনার কি মনে হয় জ্বীন আপনাকে নজরে রাখছে? — সম্মানিত ভাই ও বোন এমন...

শিরক

কি কি কাজ করলে শিরক হয়? শিরক সম্পর্কে জানলেন না তো আপনার এ জীবনই বৃথা! নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, দানের মতো বড় বড় ইবাদতকে এটা ধ্বংস করে দেয়। আর শেষ ফলাফল হলো স্থায়ী ভাবে জাহান্নামে অবস্থান। 🔘আল্লাহ্ ব্যতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক। —(আবু দাউদ: ৩২৩৬ (ইফা) 🔘কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক। —(বুখারি: ৫৩৪৬, আবু দাউদ: ৩৯১০) 🔘মাজারে ও কোন পীর-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক। —(সূরা জ্বীন: ২০, মুসলিম: ১০৭৭, আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই) 🔘আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পীর-আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে মানত করা শিরক। —(সহিহ বুখারি: অধ্যায়: তাকদির) 🔘কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক। —(বুখারি, আবু দাউদ: ৩৯১০) 🔘কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে “ও মা, ও বাবা” ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক। বিপদে পড়লে “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন” বলতে হয়। —(সূরা বাক্বারাহ: ১৫৬) 🔘“তোর ভবিষ্যত অন...

অধিক উপকারী সহজ কিছু আমল

১। প্রত্যেক অজুর পর কলেমা শাহাদত পাঠ করুন। উচ্চারণঃ ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহু।’ এতে জান্নাতের আটটি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৪৪১, হাদিস একাডেমি, পবিত্রতা অধ্যায়) ২। প্রতি রাতে সূরা মুলক (৬৭ নম্বর সুরা) পাঠ করুন। এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (সহিহ নাসাঈ, সহিহ তারগিব, হাকিম- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ-১১৪০) ৩। সূরা ইখলাস তিনবার পড়লে পুরো কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। (বুখারি, হাদিসঃ ৫০১৫) সুতরাং যত খুশি পড়ুন, চাইলেই প্রতিদিন শত শতবার কোরআন খতমের সওয়াব পেতে পারেন। ৪। সকালে ও বিকেলে ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করুন। এতে মহান আল্লাহ্ আপনাকে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মর্যাদা দান করবেন। (আবু দাউদ তাহকিককৃত, হাদিসঃ ৫০৯১) ৫। সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করুন। এতে কিয়ামতের দিন আপনার চেয়ে বেশি সওয়াব নিয়ে আর কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম- ৬৫৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৬। বাজারে প্রবেশ করে এই দোয়া পাঠ...

মারাত্নক ব্যাধি থেকে আশ্রয়

মূল আরবীঃ اَللَّھُمَّ اِنِّیْ اَعُوْذُبِکَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَسَیِّءِ الْاَسْقَامِ উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম অর্থ: হে আল্লাহ্ অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্নক ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আবু দাউদ ২/৯৩, সহীহ তিরমিযী ৩/১৮৪; সহীহ নাসাঈ ৩/১১১৬

ইমাম মাহদী

ইমাম মাহদী আসার পূর্বে প্রায় ৭০টি আলামতের হাদীসে বর্ণনা আছে। তার মধ্যে প্রায় ৬৫টি পূর্ণ হয়ে গেছে। এর কয়েকটি তুলে ধরলাম... 👉🏻 মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি হবে (বুখারী) 👉🏻 মানুষ চুলে কলপ ব্যবহার করবে (আবু দাউদ) 👉🏻 ঘন ঘন ভূমিকম্প হবে (বুখারী) 👉🏻 বিনা বিচারে হত্যাকান্ড বেড়ে যাবে (বুখারী ও মুসলিম) 👉🏻 ঘন ঘন বাজার বসবে ও মহিলারা সর্বপ্রথম সেখানে ঢুকবে (বুখারী, মুসলীম ও মিশকাত) 👉🏻 মহিলারা পণ্য হবে (তাদের দোকানে বসানোসহ বিভিন্ন এডভারটাইসিং করাবে) 👉🏻 পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে (বুখারী ও মুসলিম) এছাড়াও আরো রয়েছে, 👉🏻 ঘন ঘন বজ্রপাত হবে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের যখন পরস্পরের সাথে দেখা হবে, তারা বলবে গত বজ্রপাতে তোমাদের এলাকায় কতজন মারা গেছে। 👉🏻 সুদের ছড়াছড়ি হবে। 👉🏻 দূর্নীতি বেড়ে যাবে। 👉🏻 কোন অপরাধে শাস্তি কায়েম না হওয়া। 👉🏻 জ্বীনা-ব্যভিচার, প্রেম-ভালবাসা, অবৈধ সম্পর্ক, পরকীয়া বেড়ে যাবে। 👉🏻 সময় দ্রুত চলে যাবে, বরকত কমে যাবে। 👉🏻 গান-বাজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে ও তাকে হালাল মনে করা হবে। 👉🏻 মদ্যপান বেড়ে যাবে ও তা অন্য নাম দিয়ে বিক্রি করা হবে। 👉🏻 কাফের শাসকদের বন্ধু ব...

তাওবা সমূহ

দোয়া-১ মূল আরবীঃ ﺃَﺳﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। প্রতি ওয়াক্তের ফরজ সালাতে সালাম ফিরানোর পর রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত— ৯৬১] দোয়া-২ মূল আরবীঃ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি। অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি। রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন। [বুখারী— ৬৩০৭] দোয়া-৩ মূল আরবীঃ ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻲَّ ﺇِﻧَّﻚَ ‏( ﺃﻧْﺖَ ‏) ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢُ ‏( ﺍﻟﻐَﻔُﻮْﺭُ ) উচ্চারণঃ রব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রহীম”-এর বদলে: ‘গফূর’। অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান, তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী। রসুলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন। [আবূ দাঊদ— ১৫১৬, ইবনু মা...