পর্দার দাওয়াহ ❤

*শোনো! তুমি পর্দা কেনো করনা?

কই আমি তো পর্দা করি।
এইযে আমি জামার সাথে হিজাব করে আছি।

*এটা তো পর্দা না। এটা শালীনতা!!!
পর্দা আর শালীনতা তো দুইটা দুই জিনিস। অবশ্যই শালীন হওয়া আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু পর্দা তো আমাদের জন্য ফরয। যেহেতু আমরা সবাই মুসলিম তাই আমাদের ফরয কে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। তাই নয় কি?

*আচ্ছা যারা পরিপূর্ণ ভাবে পর্দা করে, তুমি তাদের মতো চলতে পারনা কেনো? সেই বোনটিকে আর তোমাকে তো আল্লাহ্ একই আদলে তৈরি করেছেন। তাই না?

ওরা পারে, এজন্য যে আমাকে পারতে হবে তার তো কোনো মানে নেই। একেক জনের শরীর একেক রকম।কারো সাথে কারো সামঞ্জস্য নেই। তাই ওরা পারলেও আমি পারবনা। আমি আর ওরা কি এক নাকি?

*আচ্ছা তুমি যখন স্কুল বা কলেজে পড়তে, তখন তোমার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দেশ ছিলো, সবাই একই ধরনের, একই কালারের পোশাক পরে আসবে। তখন তো সবাই তাই করেছিল যা তুমিও করেছিলে। তখন তো ওরা আর তুমি একই ছিলে তাই না? তাহলে এই ক্ষেত্রে এক হলে সমস্যা কোথায়?

আমার সমস্যা আমি নিকাব-বোরকা পড়তে পারিনা। কারণ আমার দম আটকে আসে। প্রচন্ড গরম লাগে, আর গরম আমি একটুও সহ্য করতে পারি না।

*তাহলে তুমি যে এই মুহূর্তে মুখে মাস্ক পরে আছো, এতে কি তোমার একটুও দম আটকে আসছে না?

*আফসোস!
তুমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গায়ে বড় বড় এপ্রোন পড়ে ক্লাস করতে পারো। কিন্তু পর্দাতেই যত বাহানা।

তুমি কাকে কারণ দর্শাও?
কার দেওয়া বিধানের ওপর কারণ দর্শাও?
যার বিধানের ওপর তুমি কারণ দর্শাও তিনি তো মহান রব্বুল আলামীন। তিনি তোমার মনের খবর ঠিকই রাখেন।
এখনো সময় আছে তাওবা করে ফিরে আসো।
না হয় আফসোসের শেষ থাকবেনা।

Comments

Popular posts from this blog

কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মউত

বিয়ের আগে প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ হারাম

দ্রুত বিয়ে হওয়া ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল সম্পর্কে—