Posts

Showing posts from June, 2020

দরুদ শরীফ সংক্ষেপে লেখা যাবে না! ❌

♦রসূল ﷺ এর নাম মুবারক লেখার পর দরুদ শরীফ সংক্ষেপে লেখা যাবে না (১ম পর্ব) রসূল ﷺ নাম মুবারক এর সাথে দরুদ শরীফ সংক্ষেপে (সাঃ), (ছঃ), (দঃ), (সা.), (সা:), (স), (Pbuh), (Pbh), (D), (S), (Sm), (ﺻﻠﻠﻢ), (ﺻﻠﻌﻢ), (ﻋﻢ), (ﺹ) ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত শব্দ দ্বারা দরুদ লেখার বিধান: 📖 ১ম দলিল— নূরে মুজাস্সাম, হজুরপূর নূর ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিখার পর পূর্ণ দরুদ শরীফ লিখা হাদীস শরীফে আদেশ করা হয়েছে— عن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “من صلى عليّ في كتاب، لم تزل الصلاة جارية له ما دام اسمي في ذلك الكتاب অর্থ: যে ব্যক্তি আমার উপর ছলাত বা দরুদ শরীফ লিখবে, সর্বদাই আমার নাম মুবারকের সাথে ঐ লিখায় পূর্ণ দরুদ শরীফ লিখবে। 📖 দলিল সমূহ— (ক.) মুজামুল কবীর তাবরানী ১৯/১৮১: হাদিস ৪৪৭ (খ.) মুজামুল আওসাত তাবরানী ২/২৩২: হাদিস১৮৩৫ (গ.) তারগীব ওয়াত তারহীব ২/৩৩০: ১৬৯৭ (ঘ.) মাযমাউয যাওয়ায়েদ ১/১৬৩: হাদিস ৫৭৭ (ঙ.) জামিউল আহাদীস ২১/১১: হাদিস ২২৭৭৩ (চ.) কানযুল উম্মাল ১/৫০৭: হাদিস ২২৪৩ (ছ.) লিসানুল মিযান ২/৩০০ (জ.) তবাকাতে সুফিয়াতুল কুবরা ১/১৮০ (ঝ.) তাফসীরে ইবনে কাছীর: ৬/৪৭৭ (ঞ.) তাফসীরে কুরত...

পর্দার দাওয়াহ ❤

*শোনো! তুমি পর্দা কেনো করনা? কই আমি তো পর্দা করি। এইযে আমি জামার সাথে হিজাব করে আছি। *এটা তো পর্দা না। এটা শালীনতা!!! পর্দা আর শালীনতা তো দুইটা দুই জিনিস। অবশ্যই শালীন হওয়া আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু পর্দা তো আমাদের জন্য ফরয। যেহেতু আমরা সবাই মুসলিম তাই আমাদের ফরয কে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। তাই নয় কি? *আচ্ছা যারা পরিপূর্ণ ভাবে পর্দা করে, তুমি তাদের মতো চলতে পারনা কেনো? সেই বোনটিকে আর তোমাকে তো আল্লাহ্ একই আদলে তৈরি করেছেন। তাই না? ওরা পারে, এজন্য যে আমাকে পারতে হবে তার তো কোনো মানে নেই। একেক জনের শরীর একেক রকম।কারো সাথে কারো সামঞ্জস্য নেই। তাই ওরা পারলেও আমি পারবনা। আমি আর ওরা কি এক নাকি? *আচ্ছা তুমি যখন স্কুল বা কলেজে পড়তে, তখন তোমার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দেশ ছিলো, সবাই একই ধরনের, একই কালারের পোশাক পরে আসবে। তখন তো সবাই তাই করেছিল যা তুমিও করেছিলে। তখন তো ওরা আর তুমি একই ছিলে তাই না? তাহলে এই ক্ষেত্রে এক হলে সমস্যা কোথায়? আমার সমস্যা আমি নিকাব-বোরকা পড়তে পারিনা। কারণ আমার দম আটকে আসে। প্রচন্ড গরম লাগে, আর গরম আমি একটুও সহ্য করতে পারি না। *তাহলে তুমি যে এই মুহূর্তে মুখে মাস্ক পরে আছ...

যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন তাদের জন্য ঔষধ প্রতিদিন ৩বেলা খাবেন (পড়বেন)

হতাশ হবেন না... কেটে যাবে জীবনের সব হতাশা, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কৃত করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্। যখনই কোন আত্মহত্যার খবর শুনি কুরআনের এই আয়াতগুলো খুব অর্থপূর্ণ হয়ে উঠে..! 😑 🌠 “আল্লাহ্ কষ্টের পর সুখ দিবেন!” —সূরা ত্বলাক: ৭ 🌠 “নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি!” —সূরা ইনশিরাহ: ৬ 🌠 “আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি!” —সূরা ইউসুফ: ৮৬ 🌠 “জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে!” —সূরা বাক্বারা: ২১৪ 🌠 “একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না!” —সূরা ইউসুফ : ৮৭ 🌠 “আল্লাহ্ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না!” —সূরা বাক্বারা: ২৮৬ 🌠 “এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের!” —সূরা বাক্বারা: ১৫৫ 🌠 “হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন!” ‌‌—সূরা বাক্বারা: ১৫৩ 🌠 “হে আল্লাহ্, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি!” —সূরা মারইয়াম: ৪ আল্লাহ্ আমাদের সকল মুসলমানদেরকে দ্বীনি সহীহ বুঝ...

অতি ছোট কিন্তু মহা ফজিলতপূর্ণ দুআ! 🤲🏻💕

মূল আরবী— ‎ ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔََ উচ্চারণ— “আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকাল আফিয়াহ” অর্থ— “হে আল্লাহ্ আমি আপনার কাছে আফিয়াহ চাই” আফিয়াহ-এর অর্থ— “ইয়া আল্লাহ্, আমাকে সকল দুঃখ, গ্লানি ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা কর অর্থাৎ, ☛ সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য দুআ। ☛ সন্তানের সুরক্ষার জন্য দুআ। ☛ শাস্তির পরিবর্তে ক্ষমা পাবার জন্য দুআ। ☛ যেকোন দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তির জন্য দুআ। ☛ বেঁচে থাকার তাগিদে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য দুআ।” রসূল ﷺ বলেছেন, দোয়ার মত আফিয়াহ-এর চেয়ে উত্তম আর কিছু হতে পারে না। ✍🏾 ❶ [তিরমিযি, হাদিস— ৩৫১৪] ❷ [মিশকাত, হাদিস— ২৪৯০] ❸ [আহমাদ, হাদিস— ১২২৯১] ❹ [সহীহাহ, হাদিস নং— ১৫২৩] ❺ [আল জামি, হাদিস নং— ২৪৯০] ❻ [ইবনু মাজাহ, হাদিস নং— ৩৮৪৮] ❼ [আত্ তারগীব, হাদিস নং— ১৯৭৭]

সুন্নাত

📌 স্ত্রী গ্লাসের যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাত। (মুসলিম— ৫৭৯) 📌 স্ত্রীর সাথে চুল আঁচড়ে নেয়া সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চুল আঁচড়ে দিতেন। (বুখারী— ২৯৫, মুসলিম— ৫৭১) 📌 স্ত্রীর সাথে একই সাথে গোসল করা সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) এর সাথে এবং কখনো মাইমুনা রাঃ এর সাথে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্রতার গোসল করতেন। (মুসলিম— ৬২০, নাসাঈ— ৩৮০) 📌 স্ত্রীর ব্যবহার করা মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মৃত্যু সজ্জায়, তখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়েশা (রাঃ) এর কোলে শুয়ে ছিলেন এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বার বার মেসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলেন, কিন্তু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে মেসওয়াক চিবোতে পারবেন না, তাই আয়েশা (রাঃ) মেসওয়াক চিবিয়ে দেন এবং রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করেন। হাদীসে এভাবে লালা একত্রিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। (বুখারী— ৫২২৬) 📌 স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাত। রসূল ছল্লাল্লা...

মেয়েদের জন্য ১৫ টি হাদিস

১। দেবর মৃত্যু সমতুল্য। (মৃত্যু থেকে মানুষ যেভাবে পলায়ন বা সতর্কতা অবলম্বন করে এক্ষেত্রে তাই করতে হবে) [বুখারী শরীফ— ৫২৩২, মুসলিম শরীফ— ২১৭২, তিরমিযী শরীফ— ১১৭১] ২। কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। [তিরমিযী শরীফ— ১১৭১] ৩। তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্ত শিরায় প্রবাহিত হয়। [তিরমিযী শরীফ— ১১৭২] ৪। কোন অবৈধ নারীকে স্পর্শ করার চেয়ে মাথায় লোহার পেরেক পুঁতে যাওয়া ভালো। [আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ— ২২৬] ৫। রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী যাদেরকে আমি দেখিনি। তারা ভবিষ্যতে আসবে। প্রথম শ্রেণী হবে একদল অত্যাচারী, যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক যার দ্বারা তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সে নারীর দল, যারা কাপড় পরিধান করবে কিন্তু তবুও তারা উলঙ্গ অবস্থায় থাকবে, নিজেরা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট এবং অন্যদেরকেও তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে, যাদের মস্তক (খোঁপা বাধার কারণে) উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে...

তাহাজ্জুদ

তাহাজ্জুদ! এমন‌ই এক ইবাদত যা আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক দৃঢ় থেকে সুদৃঢ় করে। যা বান্দার অন্তরকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করে। সর্বশ্রেষ্ঠ এই নফল ইবাদত পারে মুনাফিকের তালিকা থেকে আপনার আমার নাম মুছে দিতে। এই মহাক্ষণে স্বয়ং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং তাঁর বান্দাদের ডেকে বলেন, “কে আছো আমার কাছে চাইবে আমি তাকে তা দান করবো” [বুখারীঃ ১১৪৫] আর আপনি কীভাবে ভাবলেন এই মহৎ ইবাদতে শয়তান হানা দিবে না! — তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার সৌভাগ্য সবার হয়না। গভীর রজনীতে তুলতুলে বিছানায় আরামের ঘুমকে উপেক্ষা করে সবাই পারেনা তাহাজ্জুদের মুসল্লায় দাঁড়াতে। তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয়না। যারা আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু করে, প্রথম কিছু দিন তাদের মধ্য থেকে অনেকেই একটি বাঁধার সম্মুখীন হয়। — অন্ধকারে কে যেন তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। হয়তো আপনার পেছনে বা ঐ যে দরজার পাশেই বসে বসে দেখছে আপনাকে। অজু করে আসতেই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিছু বা কখনো কখনো হয়তো পায়চারি করছে। আপনার কি মনে হয় জ্বীন আপনাকে নজরে রাখছে? — সম্মানিত ভাই ও বোন এমন...

শিরক

কি কি কাজ করলে শিরক হয়? শিরক সম্পর্কে জানলেন না তো আপনার এ জীবনই বৃথা! নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, দানের মতো বড় বড় ইবাদতকে এটা ধ্বংস করে দেয়। আর শেষ ফলাফল হলো স্থায়ী ভাবে জাহান্নামে অবস্থান। 🔘আল্লাহ্ ব্যতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক। —(আবু দাউদ: ৩২৩৬ (ইফা) 🔘কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক। —(বুখারি: ৫৩৪৬, আবু দাউদ: ৩৯১০) 🔘মাজারে ও কোন পীর-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক। —(সূরা জ্বীন: ২০, মুসলিম: ১০৭৭, আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই) 🔘আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পীর-আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে মানত করা শিরক। —(সহিহ বুখারি: অধ্যায়: তাকদির) 🔘কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক। —(বুখারি, আবু দাউদ: ৩৯১০) 🔘কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে “ও মা, ও বাবা” ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক। বিপদে পড়লে “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন” বলতে হয়। —(সূরা বাক্বারাহ: ১৫৬) 🔘“তোর ভবিষ্যত অন...