Posts

বিয়ের প্রস্তাব

এক ছেলে, এক মেয়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। 🙋🏻‍♂️ মেয়েটি প্রস্তাবটি জেনে ছেলেটিকে জানায়... 🙋🏼‍♀️🤔 আমি জানিনা,  কীভাবে রান্না করতে হয়! 🍲 কীভাবে সেলাই করতে হয়! 👕 কীভাবে কাপড় ধুয়ে ইস্ত্রি করতে হয়! 👔 আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন? 🙄🤔 ছেলেটি বললো... 🙋🏻‍♂️ আপনি কি নামাজ আদায় করতে পারেন? 🧕 আপনি কি আল্লাহ্ তা'আলার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করে তার ইবাদাত করেন? 🤲🏻 আপনি কি রোজা রাখেন, যাকাত দেন? মেয়েটি বললো... 🙋🏼‍♀️ জ্বী, আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। 🧕 আমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করি না। ❌ আমি যখন পারি তখন দান-সাদাকাহ করি এবং আমি আল্লাহকে ভয় করি। 🙂 ছেলেটি (হাসিমুখে জানায়)... 🙋🏻‍♂️😊 আমার জন্য ততটুকুই যথেষ্ট। আমার একজন মেয়ের প্রয়োজন যিনি আমার দ্বীনকে সম্পূর্ণ করবে। আমার বাড়িতে কোন কাজের বুয়ার প্রয়োজন নেই। 🙂 এসব শুনে মেয়েটি উত্তর দিলো... 🙋🏼‍♀️☺️ আমি রান্নাবান্না, কাপড় কাঁচাসহ সব কাজই করতে অভ্যস্ত। শুধু আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম আপনি কতটুকু দ্বীনদার। 👳 আলহামদুলিল্লাহ্ আপনি পাশ করেছেন 🤲🏻 আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কোরআন—এ ইরশাদ করেছেন, اَلْخَبِيْثٰ...

দ্রুত বিয়ে হওয়া ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল সম্পর্কে—

আমাদের জীবনে সেটাই ঘটবে যা আল্লাহ্ তাআলা আমাদের ভাগ্যে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই পেরেশান হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা চাই। মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন— قُلْ لَنْ يُصِيْبَنَا إِلاَّ مَا كَتَبَ اللهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا “তুমি বল, আল্লাহ্ আমাদের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন, তা ব্যতীত কিছুই আমাদের নিকট পৌঁছবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক।” —[সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৫১] তবে বেশি বেশি করে দুআ করবেন। কারণ দুআ অনেক পাওয়ারফুল আমল। আল্লাহ্ তাআলা আম্বিয়ায়ে কেরামের আমলের মধ্যে দুআর বিষয়টি পবিত্র কুরআনে বারবার উল্লেখ করেছেন। হাদিসে এসেছে— لاَ يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلاَّ الدُّعَاءُ “ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দুআ ব্যতীত।” —[তিরমিযী: ২১৩৯] অতিদ্রুত হালাল, উত্তম ও সম্মানজনক রুজি এবং উত্তম ও দ্বীনদার স্ত্রী কিংবা স্বামী পাওয়ার জন্য বেশি বেশি করে মুসা আলাইহিস সালাম কৃত দুআটি পড়তে পারেন— رَبِّ اِنِّیۡ لِمَاۤ اَنۡزَلۡتَ اِلَیَّ مِنۡ خَیۡرٍ فَقِیۡرٌ “হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।” —[সূরা কাসাস, আয়াত: ২৪] উত্তম জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহ্ ...

১০০টি কবিরা গুনাহ

🌀 কবিরা গুনাহ কাকে বলে? কবিরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে— ◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ◉ যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দন্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে। ◉ যে সকল কাজে আল্লাহ্ তা'য়ালা রাগ করেন। ◉ যে সকল কাজে আল্লাহ্ তা'য়ালা, নবী ﷺ ও ফিরিশতা মন্ডলী লানত দেন। ◉ যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়। ◉ কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ্ ও রসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ◉ যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে। ◉ অথবা যে কাজকে আল্লাহ্ তা'য়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 🌀 কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদা: ১. মহান আল্লাহ্ বলেন: إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا "যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থা...

ব্যভিচারের শাস্তির জন্য প্রস্তুত তো?

যারা রিলেশনশীপে আছেন, তাদের জন্য ছোট্ট একটি নসিহাহ্⁉️ আপনি কি ভাবছেন “আমরা তো তাওবাহ করেই নিব। ক্ষমা চেয়ে নিব! আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দিবেন। ইসলাম এত কঠোর নাহ!” ইসলাম নিশ্চয়ই এতটাও সহজ নয় যে, কবীরা গুনাহ জানার পরও আপনি দিনের পর দিন আপনার রবের সাথে জেনেৎশুনে নাফরমানি করবেন, তাকে তাওবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিবেন, আর তিনি আপনাকে বিনা পাকড়াও ছাড় দিয়ে দিবে! নিশ্চয়ই নয়! এই লেইম যুক্তি গুলো থেকে এবার একটু বেরিয়ে আসা যাক! ১। আচ্ছা বিয়ের পর তাওবাহ করবেন— যদি বিয়ে করার আগেই মরে যান? আপনি নিশ্চিত কীভাবে বিয়ে পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন? কত মানুষই তো আমার আপনার বয়সী বিভিন্ন কারণে মারা যাচ্ছে! আপনার মৃত্যু ওভাবে হবে না আপনি এত নিশ্চিত কীভাবে? যদি এরকম ঘটে তাহলে কি হবে ভেবেছেন? এই যিনা—ব্যভিচারের শাস্তির জন্য প্রস্তুত তো? ২। আপনি কি জানেন দুআ কবুল না হওয়ার একটি কারণ হচ্ছে ‘হারামে লিপ্ত থাকা’? একটা ছোট খামখেয়ালীর জন্য নিজের আমল, ইবাদত, দ্বীনকে কেন হুমকির মুখে ফেলছেন ভাই/বোন? ৩। জেনে শুনে হারামকে হারাম জেনেও ফিরে না আসাকে কি আপনার আল্লাহর সাথে নাফরমানি মনে হয় না? তাক্বওয়...

বিয়ের আগে প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ হারাম

প্রেম হারাম হলে ইউসুফ জুলেখা, শিরি ফরহাদ, লাইলি মজনু প্রেম করতো না! আধুনিক প্রেমিক যুগলদের যখন বলা হয় বিবাহপূর্ব প্রেম নিষিদ্ধ, তখন তারা ঠিক উপরের বাক্যটা ছুড়ে দেয়। আসলেই কি ইউসুফ আদম আলাইহি সাল্লাম প্রেম করেছিল? আসুন, সত্যতা জেনে নেই। কুরআন মাজিদের ১২ নাম্বার সূরা, সূরা ইউসুফ এর কয়েকটা আয়াত দেখুন, আর সে যে মহিলার (জুলেখা) বাড়িতে ছিল, ঐ মহিলা তাকে ফুসলাতে লাগল এবং দরজাসমূহ বন্ধ করে দিল। সে মহিলা বলল— ‘শুন! তোমাকে বলছি, এদিকে আস।’ সে বলল— ‘আল্লাহ্ রক্ষা করুন’; তোমার স্বামী আমার মালিক। তিনি আমাকে সযত্নে থাকতে দিয়েছেন। নিশ্চয় সীমা লংঘনকারীগণ সফল হয় না। —[সূরা ইউসুফ, আয়াত ২৩] তারা উভয়ে ছুটে দরজার দিকে গেল এবং মহিলা ইউসুফের জামা পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে ফেলল। উভয়ে মহিলার স্বামীকে দরজার কাছে পেল। মহিলা বলল— ‘যে ব্যক্তি তোমার পরিজনের সাথে কুকর্মের ইচ্ছা করে, তাকে কারাগারে পাঠানো অথবা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেয়া ছাড়া তার আর কি শাস্তি হতে পারে?’ —[সূরা ইউসুফ, আয়াত ২৫] মোটামুটি ঘটনাটা এমন, ইউসুফ আদম আলাইহি সাল্লামকে তার ভাইয়েরা কুয়ায় নিক্ষেপ করে চলে এসেছিল ছোটতে। সেই কুয়া থেকে তুলে এনেছিল ...

ইসলামে প্রেমের বিধান

ইসলামে প্রেমের বিধান— بسم الله الرحمن الرحيم পরপুরুষ বা পরনারীর  সঙ্গে নিঃসন্দেহে প্রেম হারাম! কেননা, ১। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন— “তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।” —[সূরা মায়িদা: ৫] ২। তাছাড়া এ জাতীয় প্রেম নর-নারীকে যিনার নিকটবর্তী করে দেয়। আর যিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুনাহ। যিনা তথা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হারাম এবং যে সকল জিনিস যিনার নিকটবর্তী করে দেয় তাও হারাম।  আল্লাহ্ তা'আলা বললেন— “আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ"। —[সূরা ইসরা: ৩২] ৩। প্রেম করলে শয়তান অবশ্যই যিনা করতে প্রলুব্ধ করবে। প্রেমিক-প্রেমিকা নির্জনতা কামনা করবে। আর এটা হারাম।  রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন— “শুনে রাখ, কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সঙ্গে নিভৃতে একত্রিত না হয় অন্যথায় শয়তান অবশ্যই তৃতীয় জন হিসাবে হাজির থাকে”। —[ইবনু মাজাহ: ২৩৬৩, তিরমিযি: ২১৬৫] ৪। অপর হাদীসে রসূলুল্লাহ ...

১টি বিবাহ প্রকল্প; দুটি জীবনের দুর্ভোগ!

যৌন ক্ষুধা কি সাধারণ ক্ষুধার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ? ক্ষুধা লাগলে খেতে হয়। খাবার না পেলে চুরি করে হলেও মানুষ খাবার সংগ্রহ করে। তাহলে, যৌন ক্ষুধা নিবারণ করার সুযোগ করে না দিলে তো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হারামের দিকে পা বাড়াবে। দেখুন! বিয়ে কত সহজ ছিলো সাহাবাদের সময়ে! সাহল বিন সা’দ (রদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার এক নারী রসূল ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এসে বললো— ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার নিজেকে আপনার জন্য উপহার দিতে এসেছি (পরোক্ষ ভাষায় বিয়ের প্রস্তাব)।’ তখন নবী ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করে মাথা নিচু করলেন। সেই নারী যখন দেখলো যে, নবী ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়লো। এমন সময় রসূল ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীদের একজন বললো— ‘যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এই নারীর সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিন।’ তিনি বললেন— “তোমার কাছে কি (মোহর দেওয়ার মতো) কিছু আছে?” সে বললো— ‘হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম! কিছুই নেই।’ তিনি বললেন— “তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং দেখো কিছু পাও কি না!” এরপর লোক...